🔊ঘটনাটি আজকের সন্ধ্যার (১৮-১১-২০১৮)🔛
ℹঅনেকক্ষন ধরে আমি দেখছিলাম মার্কেটে, ছবিতে এই মুরব্বি চাচা টা এই পুতুলগুলুর আসেপাশে দিয়ে ঘুরছে একবার একটা হাতে নিচ্ছে,আবার আরেকটা হাতে নিচ্ছে,আবার রেখে দারিয়ে দারিয়ে দেখছে,আমি অনেক্ষন বিষয়টা দেখলাম,কেমন কেমন লাগছিলো,ব্যপার কি?৪০ থেকে ৫০ মিনিট হবে, কারন আমি এখানে আসার আগেই নাকি উনি এখানে আসছে আমি যে দোকানের দারিয়ে ছিলাম সেই দোকানদারের বক্তব্য আর কি আমি জিজ্ঞেস করাই উনি বললেন।
ℹঅনেকক্ষন ধরে আমি দেখছিলাম মার্কেটে, ছবিতে এই মুরব্বি চাচা টা এই পুতুলগুলুর আসেপাশে দিয়ে ঘুরছে একবার একটা হাতে নিচ্ছে,আবার আরেকটা হাতে নিচ্ছে,আবার রেখে দারিয়ে দারিয়ে দেখছে,আমি অনেক্ষন বিষয়টা দেখলাম,কেমন কেমন লাগছিলো,ব্যপার কি?৪০ থেকে ৫০ মিনিট হবে, কারন আমি এখানে আসার আগেই নাকি উনি এখানে আসছে আমি যে দোকানের দারিয়ে ছিলাম সেই দোকানদারের বক্তব্য আর কি আমি জিজ্ঞেস করাই উনি বললেন।
আমি ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি,যদি উনি পুতুল গুলো কিনেন তাহলে এত টা সময় লাগার কথা না,লাগলেও কি ৫০ মিনিট....
একসময় দোকানদার এসে বললো,চাচা কি চাই, যান এখান থেকে।
তখন উনি বললেন,বাবা এই পুতুলডার দাম কত?
বৃদ্ধা বললেনঃ ও আচ্ছা।
বলে উনি আড়ালে গিয়ে গায়ের ওপর যে গামছা ছিলো ওটার গিট্টু খুলে কিছু টাকা বের করে গুনে গুনে দেখলেন।
(আমি কিন্তু সব ফলো করছি আরকি)...
(আমি কিন্তু সব ফলো করছি আরকি)...
তারপর আবার পুতুলটা হাতে করে দোকানদারের কাছে গিয়ে বললেনঃ ১০০ টাকা দেওয়া যায় না?
দোকানদার বললো না পারবো না।১০০ টাকায় এই পুতুল হয় না।
তারপর লোকটা কিছু না বলে পুতুলটা রেখেদিলো।আমি খেয়াল করে দেখলাম পুতুলটা রাখার সময় চোখটা পানিতে ছল ছল করছে।চোখ থেকে পানি পরে যাওয়ার আগে কাধের গামছা দিয়ে মুছে চলেই যাচ্ছিলো।
তারপর লোকটা কিছু না বলে পুতুলটা রেখেদিলো।আমি খেয়াল করে দেখলাম পুতুলটা রাখার সময় চোখটা পানিতে ছল ছল করছে।চোখ থেকে পানি পরে যাওয়ার আগে কাধের গামছা দিয়ে মুছে চলেই যাচ্ছিলো।
তখন আমি কাছে গিয়ে বললাম,কি হয়ছে চাচা?
বৃদ্ধা বলেনঃকৈ কিছু না বলে কান্না করে দিলেন।
আশে পাশের লোকজন হা করে তাকায়ে আছে লোকটার কান্না দেইখে।
আমি বললামঃ চাচা আমাকে বলেন কি হয়ছে? আমি অনেকক্ষন ধরে দেখছি পুতুলগুলোকে আপনি দেখছেন। কি হয়েছে?
তখন উনি যা বললেন....
আমার নাতনির বয়স ৩ বছর,কত দিন ধরে বলে নানা একটা পুতুল আইনে দিও,আমি বলি দিবো নে,দিবোনে।
সারারিন ভিক্ষা কইরা রাইতে বাসায় যায়, আর দৌরে আইসে বলে নানা পুতুল আনছো।
সারারিন ভিক্ষা কইরা রাইতে বাসায় যায়, আর দৌরে আইসে বলে নানা পুতুল আনছো।
আমি বলি না রে আনি নাই,পরে কাইদে কাইদে ঘুমাই যায় পুতুলের জন্য।
যা টাকা ভিক্ষা কইরে পাই রাতে খাওয়ার কিনতেই শেষ হয়ে যায়,পুতুল কিনবো কিভাবে।
তারপর ও সব খরচ কইরেও কইটা কইটা করে রাখছি পুতুল কেনার জন্য।কিন্তু এত টাকা তো নাই,পুতুল ছারা আজকে গেলে নাতনিটা আবার কাদবো।আজ আবার ওর জন্মদিন।গরিবের পোড়া কপাল।
তারপর ও সব খরচ কইরেও কইটা কইটা করে রাখছি পুতুল কেনার জন্য।কিন্তু এত টাকা তো নাই,পুতুল ছারা আজকে গেলে নাতনিটা আবার কাদবো।আজ আবার ওর জন্মদিন।গরিবের পোড়া কপাল।
বলতে বলতে চোখের পানি মোছে।
আমি বললামঃ আসেন আমার সাথে।
বইলে নিয়ে গেলাম দোকানটাই।বললাম কোনটা নিবেন?
তখন উনি বলেন,আমার কাছে টাকা নাই।
আমি বললাম,আপনার দেওয়া লাগবে না,আমি আপনার নাতনিকে কিনে দিবো।কোনটা নিবেন?
বলেঃ না মা তুমি কেন দিবা।
বললামঃ কোনটা পছন্দ হয় বলেন চাচা,আমি তো আপনার মেয়ের মত।মেয়ের কাছে থেকে জিনিস নেওয়া দোষের কিছু না।
বলে লোকটা একটা পুতুল নিলো।বললো, মা এই লালটা নিবো।আমারে আমার নাতনি বলছিলো, নানা লাল পুতুল আইনো।
আমি বললাম আচ্ছা।নেন এইটা।আর আমি পছন্দ করে আরেকটা দিলাম।
বলে মা একটাই থাক আর লাগবে না।
বললাম চাচা,ঐ টা আপনার পছন্দের, আর এটা আমার পছন্দের,আপনার নাতনিকে গিয়ে বলবেন জিম আন্টি দিছে জন্মদিনে।
বলে দোকানদার কে টাকা দিয়ে, বললাম চাচা খুশি তো?
আর কাদবেন না।ঠিক আছে।
আর কাদবেন না।ঠিক আছে।
তখন উনার মুখটা দেখার মত ছিলো,এত খুশি যেনো আকাশের চাদ হাতে পেয়েছে,
বলে মা,দোয়া করি আল্লাহ তোমাকে অনেক বড় করবে।সারাজিবন তোমার জন্য দোয়া করবো আমি।
আমি বললাম,চাচা আসেন একটা কেক কিনে দেই,নাতনির সাথে গিয়ে কেক কেটে জন্ম দিন পালন করবেন।
পরে কেক কিনে চাচাকে বিদায় দিলাম।
খাইরুল আলম
0 Comments